আদামদিঘীতে ‘যৌতুকের জন্য’ গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলায় এক গৃহবধূকে ‘যৌতুকের দাবিতে’ হত্যার অভিযোগ তুলে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা।

নওগাঁ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2020, 06:22 PM
Updated : 7 August 2020, 06:22 PM

এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে গৃহবধূর পরিবার ও এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার উপজেলার সান্তাহার পোওতা ওয়ার্কসপ চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছেন।  

২৮ জুলাই রাতে আদমদিঘীর গোহাটি এলাকায় মীম আক্তার (২০) মারা যান। মীম আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার নামা পোঁয়াতা গ্রামের মোসলেম উদ্দীন প্রামাণিক ও ফরিদা খাতুনের মেয়ে। 

এই ঘটনায় আদমদীঘী থানা একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মানববন্ধনে গৃহবধূর বাবা মোসলেম উদ্দীন ও মা ফরিদা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

সান্তাহার পৌর এলাকাবাসীর ব্যানারে মীমের স্বামী ফজলে রাব্বীর ফাঁসি দাবি করা হয়

তাদের অভিযোগ, বগুড়ার দুঁপচাচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের তানসেন প্রামানিকের ছেলে ফজলে রাব্বীর সঙ্গে তাদের মেয়ে মীম আক্তারের বিয়ে হয়। এরপর থেকে স্বামী ও তাদের পরিবারের লোকজন নানাভাবে মীমের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।

মোসলেম উদ্দীন বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্নভাবে প্রায় সাত লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার স্বামী আরও ৪০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য ২৮ জুলাই রাতে গোহাটি এলাকার তাদের ভাড়া বাসায় পরিকল্পিতভাবে মীমকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে।

“এ ঘটনায় থানায় আমরা মামলা করতে গেলে হত্যা মামলা পুলিশ গ্রহণ করেনি। মীমের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্নও ছিল।”

তিনি এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরসহ বিচারের দাবি জানান।

মানববন্ধনে উপস্থিত অন্যরাও মীমের ‘হত্যাকারীদের’ বিচার দাবি করেন।

বিয়ের আসরে ফজলে রাব্বী ও মীম আক্তার

এ বিষয়ে আদমদিঘী থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, ২৯ জুলাই সকালে ওই বাড়ি থেকে খাটের ওপর শায়িত থাকা অবস্থায় মীমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

“প্রাথমিক তদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্টে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। এরপরও সন্দেহমুক্ত হতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” 

ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যার প্রমাণ মিললে অবশ্যই থানায় হত্যা মামলা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।