সিনহা হত্যা: প্রদীপ, লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ বরখাস্ত

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার আসামি টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলিসহ সাত পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2020, 04:44 PM
Updated : 7 August 2020, 08:08 PM

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পরিদর্শক প্রদীপ ও লিয়াকতকে বরখাস্তের আদেশ এসেছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।

আর এ মামলায় আত্মসমর্পণ করা বাকি পাঁচজন- এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে বরখাস্তের আদেশ কক্সবাজার জেলা পুলিশ কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

গত ৩১ অগাস্ট রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এরপর বুধবার নিহতের বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দেয়।

ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে মামলার নয়জন আসামির মধ্যে সাতজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরির্দশক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে সাত দিনের রিমান্ড এবং অন্য পাঁচ আসামিকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

আদালতে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ

এছাড়া অপর দুই আসামি আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তাদের পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা নামে এ মামলার ওই দুই আসামির কেউ টেকনাফ থানা ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত পুলিশ সদস্য নেই বলে এসপির ভাষ্য।

এ নিয়ে শুক্রবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেছেন জানিয়ে এসপি মাসুদ বলেন, “যে বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় নিজেই তুলে ধরছেন তা নিয়ে আমার বিস্তারিত বলাটা অনুচিত।”

মামলার এজাহারে উল্লেখ থাকা ওই দুই আসামিকে নিয়ে পুলিশের বক্তব্য সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, “বিষয়টি নির্ভর করছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপর। এ দুই আসামি আদৌ টেকনাফ থানা ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন কি না তা তদন্ত কর্মকর্তা খুঁজে দেখবেন।

“যদি কর্মরত না থেকে থাকেন অথবা এজাহারে ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়ে থাকে সেটির ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব তদন্ত কর্মকর্তার উপর বর্তায়।”