আবু বকর সিদ্দিক নামের ওই কয়েদি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অন্য কয়েদিদের লকআপের পর সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে এই ঘটনায় কারাগারের জেলার বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
আবু বকর সিদ্দিক সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চণ্ডীপুরের তেছের আলী গাইনের ছেলে। তিনি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি।
পাঁচ বছর আগেও এই ব্যক্তি কারাগারের ভেতর আত্মগোপন করেছিলেন। একদিন পর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়।
কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহানারা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপ করতে গিয়ে ওই কয়েদিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাঁখুজির পরও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কয়েদিকে কারাগারের ভেতরে কোথাও খুজেঁ পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
“এ ঘটনায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর প্রধান কারারক্ষী, সহকারী প্রধান কারারক্ষীসহ সাতজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এই সাতজনসহ আরও পাঁচ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
জাহানারা বেগম জানান, আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে আসেন। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই উচ্চ আদালত তার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করে।
তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায়ও তিনি আত্মগোপন করেছিলেন। তখন তিনি ৪০ সেল এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতর লুকিয়ে ছিলেন। পরদিন তাকে ওই ট্যাংকের ভেতর থেকে বের করা হয়।