কাশিমপুর কারাগারের এক কয়েদির ‘খোঁজ নেই’

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি যাবজ্জীবন সাজার এক কয়েদিকে পাওয়া যাচ্ছে না।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2020, 07:56 AM
Updated : 7 August 2020, 05:14 PM

আবু বকর সিদ্দিক নামের ওই কয়েদি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অন্য কয়েদিদের লকআপের পর সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসমলাম।

এই ঘটনায় গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

কাশিমপুর-২ কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহানারা বেগম জানান, আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায়, বাবার নাম তেছের আলী গাইন। ২০১১ সালের ১৫ জুন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফাঁসির আসামি হিসেবে তিনি কশিমপুরে আসেন। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তার সাজা সংশোধন করে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়।

“বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বন্দিদের গণনাকালে তাকে পাওয়া যায়নি। ২০১৫ সালেও ওই কয়েদি একবার কারাগার চত্বরে পালিয়ে ছিলেন। পরে কারাগারের ভেতরে এক সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তাকে বের করা হয়।”

আবু বকর এবারও সেরকম ঘটিয়ে থাকতে পারেন মন্তব্য করে জেল সুপার বলেন, “আমরা তাকে খুঁজছি। এ বিষয়ে আজ সকালে কোনাবাড়ি থানায় একটি জিডিও করা হয়েছে।”

কাশিমপুর কারাগারের একজন কমর্কতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় আত্মগোপন করে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন আবু বকর। পরদিন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।

“এরপর কিছুদিন তাকে কারাগারে শেকল পরিয়ে রাখা হত, পরে শেকলমুক্ত করে দেওয়া হয়। কারা চত্বরে অন্য বন্দিদের সঙ্গেই তিনি কাজ-কর্ম করতেন।”

বৃহস্পতিবারও অন্যদের সঙ্গে মুক্ত ছিলেন আবুবকর । সন্ধ্যায় বন্দিদের গনণার সময় তার উধাও হওয়ার বিষয়টি বোঝা যায়।

“পরে কারাগারের ৬টি ভবনের ২৪টি কক্ষে তার খোঁজ না পেয়ে সকল বন্দিদের রোলকল হয়। আবু বকরের নিখোঁজ থাকার বিষয়ে আমরা তখন নিশ্চিত হই।”

কারাগারের দেয়ালে থাকা আগাছা পরিষ্কার ও রঙ করার কাজে ব্যবহৃত মই দিয়ে আবু বকর পালিয়েছেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে একজন কারা কর্মকর্তা জানান।

কোনাবাড়ী থানার ওসি মো. এমদাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার কাশিমপুর কারাগারের জেলার বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।