মৃত ওসমান গণির (৬০) বাড়ি মহেশপুর উপজেলার পারগোপালপুর গ্রামে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের করোনাভাইরাস বিষয়ক মুখপাত্র ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন, “করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওসমান গণি বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে ১৯ জনের মৃত্যু হল।”
এছাড়া করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা গেছেন। এরা হলেন- শহরের মদনমোহন পাড়ার অরুণ কুমার বিশ্বাস (৬৩ ) ও কবিরপুরের বাদশা আলম (৫৫ )।
প্রসেনজিৎ বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অরুণ বৃহস্পতিবার বিকালে মারা যান। একই সময় শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে বাদশার মৃত্যু হয়।তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক আব্দুল হামিদ খান জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুইজনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে জেলায় নতুন করে ২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৭৫ জনে দাঁড়াল বলে সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান।
স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “লোকজন বাইরে মাস্ক ব্যবহার করছে না। আগের মতই হাট বাজারে মানুষ ভিড় করছে; শারীরিক ধূরত্ব বজায় না রেখে কেনাকাটা করছে। ফলে আসংক্রমণ ছড়াচ্ছে।”