বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-২ শাখা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের ‘চার-পঞ্চমাংশের বেশি সদস্য অনাস্থা প্রকাশ করেন।’
গত ৫ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক সেলিম হত্যার বিচার কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে আসায় এর আসামি রফিকুলকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) মো. নাহিদ হাসান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের কপি পাওয়া কথা জানিয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে আইন অনুসারে চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুকে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এছাড়া পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করার কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চার-পঞ্চমাংশের বেশি সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ মে মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক সেলিম হত্যা মামলার আসামি রফিকুলের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানসহ নয় জন ইউপি চেয়ারম্যান অনাস্থা প্রকাশ করেন। তারা এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
রফিকুল ইসলাম রেনু পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক। ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।