শিমুলিয়ায় ৪ নম্বর ফেরিঘাট পদ্মায় বিলীন, ভাঙনের মুখে আরও একটি

দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় ৪ নম্বর ফেরিঘাট পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। দুই নম্বর ঘাটও ভাঙনের আশঙ্কায় বন্ধ থাকায় এখন মাত্র একটি ঘাট দিয়ে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 August 2020, 05:21 AM
Updated : 6 August 2020, 08:11 AM

বিআইড‌ব্লিউ‌টিএ'র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানান, বুধবার রাত ৩টা থেকে ভাঙন শুরু হয়; দুই ঘণ্টার মধ্যে ঘাটটি বিলীন হয়ে যায়। এ ঘাটটি ‘ভিআইপি ফেরিঘাট’ নামে পরিচিত ছিল।

তিনি বলেন, “সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫ টায় ৮ ফেরি দিয়ে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়। ভাঙনের আশঙ্কায় থাকায় ২ নম্বর রোরো ঘাটও সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে; সীমিত আকারে শুধু ১ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরি চলছে। ভাঙনের ফলে পার্কিং ইয়ার্ডও ছোট হয়ে আসছে। ঘাটের দোকান সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

“এর আগে পদ্মার তীব্র ভাঙনে গত ২৮ জুলাই শিমুলিয়ার ৩ নম্বর রো রো ফেরি ঘাট বিলীন হয়। এরপর ৯ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা ভাঙন আঘাত হানে। এখন মোট চারটি ফেরিঘাটের মধ্যে এখন বাকি থাকল একটি।”

বিআইড‌ব্লিউ‌টিএ'র এ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা তো ভাঙ্গন আটকাতে পারবো না। যতটুকু পারছি জিও ব্যাগ ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি; তবে সেটা খুব কঠিন। ১ নম্বর ফেরি ঘাট যাতে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে যায় সে চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। আমরা পর্যবেক্ষন করছি; পরে আমরা একটি স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।

“আমরা চিন্তা করছি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ঘাট স্থানান্তর করা যায় কিনা। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা এখানে আছেন। আর না হলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট দিয়েই চলাচল করতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে এটাই আপাতত করা যায়।”

এদিকে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, পদ্মায় স্রোত বেশি থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে সাড়ে ৪০০ স্পিডবোট চলছে।