বুধবার উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের দেওয়াডাঙ্গা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয় বলে কালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হরিপদ দাস জানান।
নিহত মাসুদ রানা (৪৫) দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের আলি আকবরের ছেলে। তিনি ফরিদপুরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছিলেন।
আহতদের মধ্যে অনিক, রাজিব ও আশিকুরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের যশোর ও খুলনায় পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক পক্ষের দলনেতাসহ ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আমিনুল শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ বলেন, “আজ সকালে আমার বাবা, চাচা এবং আমি নদীর পাড়ে কাজ করছিলাম। এ সময় কাজল তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বন্দুক, দা, ঢাল সড়কি নিয়ে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। আমরা আত্মরক্ষার্থে সেখান থেকে এসে পাশের তবিবর চেয়ারম্যানের বাড়িতে আশ্রয় নেই।”
তখন তাদের চিৎকারে তাদের পক্ষের লোকজনও ওই বাড়িতে যান বলে ইব্রাহিম জানান।
তিনি বলেন, “এ সময় কাজল ও তার লোকজন ওই বাড়ির মধ্যে ঢুকে আমাদের ওপর গুলি চালায়। গুলিতে আমার বংশীয় বড় ভাই মাসুদ রানা, অনিক, রহমান, আশিকুরসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।”
তিনি জানান, তাদের চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে আনা হলে মাসুদ রানাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। আহত অনিক, রহমান, আশিকুরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসার জন্য যশোর ও খুলনায় নেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শক হরিপদ দাস বলেন, “সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাজল মোল্যাসহ ছয় জনকে আটক করা হয়েছে।”
নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে জানান হরিপদ।