মঙ্গলবার বেলা ১২টায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জের হাজীরমোড় বাজারের পাশে এ মানববন্ধনে কয়েকশ’ মানুষ অংশ নেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতার কারণে ধানেরচারা ও পাটের ব্যাপক ক্ষতির মুখে স্থানীয় প্রশাসন ড্রেনের মুখ খুলে দেওয়ার পর আবারও তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লালমনিরহাটে কর্মরত কর্মচারী সৈয়দুর রহমানের বিরদ্ধে এ ড্রেন বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে।
মানববন্ধনকারীরা জানান, রায়গঞ্জ ইউনিয়নের দামালগ্রাম এলাকার আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে সৈয়দুর রহমান মাছ চাষের জন্য তার জমির পাশ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্মিত ড্রেন বন্ধ করে দেন। এতে ওই এলাকার প্রায় ৪০ একর জমি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
তারা জানান, এতে পাট ও আমন চারা নষ্ট হলে স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নাগেশ্বরী থানার ওসিকে অভিযোগ করে। পুলিশ গিয়ে ড্রেনের মুখ খুলে দিয়ে আসে। তবে পরে সৈয়দুর রহমানের ছেলে আঙ্গুর ও আপেল আবারও ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ তাদের।
আজিজার রহমানের রহমানের জোহরা বেগম জানান, অন্যের বাড়িতে কাজ করে টাকা জমিয়ে কিছু জমি বন্ধক নিয়েছেন। সেই জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে ফসল হচ্ছে না।
আবু বক্কর সিদ্দিকের আমন চারা নষ্ট হয়েছে। এ কৃষক জানান, ফসলের জন্য বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। একই অভিযোগ মজিবর রহমানের।
এ বিষয়ে বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সৈয়দুর রহমান, আপেল ও আঙ্গুর কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তার চাচা সৈফুর রহমান ড্রেনের মুখ বন্ধ করা কথা স্বীকার বলে বলেন, পরে খুলে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলা করার কারণে তারা মুখ বন্ধ করে রেখেছেন বলেও জানান তিনি।
রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যার আব্দুল্লাহ আল ওয়ালিদ মাছুম বলেন, এর আগে আপেল ও আঙ্গুর ওই ড্রেনের মুখ বন্ধ করেছিল। অভিযোগ পাওয়ার পর খুলে দেওয়া হয়েছে। আবারও যদি এমনটি হয় তাহলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর আহমেদ মাছুম বলেন, অভিযোগটি আমরা অনেক আগে পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। আমরা অবশ্যই এর ব্যবস্থা নেব।