রোববার ভোররাতের দিকে শহরের পূর্ব খাবাসপুর লঞ্চ ঘাট এলাকাস্থ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসিবুর রহমান ফারহান (৪০) শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি শহরের পূর্ব খাবাসপুর লঞ্চ ঘাট এলাকার শওকত মো. কামালের ছেলে।
এছাড়া গ্রেপ্তার হয়েছেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভি (৬১) এবং জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন (৫৪)।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, আসিবুরকে ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাকে রোববার বিকালে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে কাগারগারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরে তাকে ফরিদপুর জেলখানা থেকে ঢাকার সিআইডি তাকে জিম্মায় নেবে।
সিআইডির চাহিদা অনুযায়ী ফরিদপুরের পুলিশ গত শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টা থেকে শনিবার ভোররাত পর্যন্ত আসিবসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপর দুইজন হলেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভি (৬১) এবং জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন (৫৪) বলে জানান তিনি।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত শহর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ২৬ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং মামলা করেন।
ওই মানি লন্ডারিং মামলায় সিআইডি পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী নাজমুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন ও আসিবুর রাহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলা হয়। এ ঘটনায় প্রেক্ষিতে করা মামলায় বরকত ও তার রুবেল প্রথম গ্রেপ্তান হন।