চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি আবু জিহাদ মোহাম্মদ ফখরুল আলম খান জানান, ঈদের দিন সকালে ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জামির হোসেন (৬০)।
জামিরের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলাতদিয়াড় গ্রামের স্কুলপাড়ায়। তিনি চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের বাসচালক ছিলেন।
২০১১ সালের ১৩ অগাস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় এক মাইক্রোবাসের সঙ্গে জামিরের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদসহ পাঁচজন নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও তিনজন।
পরদিন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামের এক আত্মীয়বাড়ি থেকে মানিকগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশ বাসচালক জামিরকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পুলিশ জামিরকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা করে।
মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর এই মামলায় জামির হোসেনের যাবনজ্জীবন রায় দেয়। সেই থেকে জামির গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের ব্যবস্থাপক আশরাফুল হক বাবলু বলেন, জামির শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে কারাগার থেকে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রোববার দুপুরে লাশ দাফন করা হয়েছে।