শনিবার সকালে উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ধানকোড়া গ্রাম থেকে মেয়েটির (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয় বলে সহকারী পুলিশ সুপার (কাশিয়ানী-মুকসুদপুর সার্কেল) আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া জানান।
ঘটনার পর থেকেই কথিত প্রেমিক আফজাল হোসেন খান কিছলু পলাতক রয়েছেন। কিছলু ধানকোড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান খানের মেজ ছেলে।
কাশিয়ানী থানার এসআই গণেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আফজাল হোসেন খান কিছলু ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে একটি মোবাইল ফোন কারখানায় চাকরি করেন। সেখানে তারা ৫/৬ জন মিলে মেস করে থাকেন। ওই মেসে মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের এই মেয়ে গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
“সেখানে কিছলুর সঙ্গে মেয়েটির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছলু ঈদের ছুটিতে বাড়ি এলে মেয়েটি বৃহস্পতিবার [৩০ জুলাই] কিছলুর বাড়ি যান এবং তাকে কিছলু বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন।”
এসআই গণেশ আরও বলেন, পরে বিয়ের প্রমাণ দেখাতে বলে কিছলু মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। শুক্রবার গভীর রাতে কিছলুদের রান্নাঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী।
প্রাথমিক তদন্তে এ তথ্য জানা গেছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। কাশিয়ানী থানায় এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আফজালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
আফজাল হোসেন খান কিসলুর বাবা হাবিবুর রহমান খান বলেন, “আমার ছেলের মেসে ওই মেয়ে রান্না করত। আমার ছেলেকে ফাঁসাতে মেয়েটি এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”
তবে আর কাউকে না ফাঁসিয়ে তার ছেলেকে কেন ওই মেয়ে ফাঁসিয়েছে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছু বলতে পারেননি।