মহামারীর মধ্যে জেলায় জেলায় ঈদ

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে জেলায় জেলায় কোরবানির ঈদ করছেন দেশের  মুসলমানরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2020, 09:09 AM
Updated : 1 August 2020, 09:09 AM

অত্যন্ত ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যে মুখে মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শনিবার সকালে ঈদের জামাতে অংশ নেন তারা। পরে পশু কোরবানি করেন। তবে অনেক জায়গায় তারা পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেননি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

রাজশাহী

সকাল ৮টায় রাজশাহী শহরের শাহ মখদুম দরগা মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত হয়েছে। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেননি অংশগ্রহণকারীরা। এর আগে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত হয় রাজশাহী প্রকৌশল  ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে।

নামাজ শেষে দেশ-জাতি ও পুরো বিশ্বের মহামারী পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দোয়া করা হয়। নামাজ শেষে পশু কোরবানি করেছেন শহরবাসী। সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত কোনো জায়গা না থাকায় যার যার মত সবাই সুবিধাজনক জায়গায় কোরবানি করেন তারা।

বরিশাল

বরিশালে করোনাভাইরাস মহামারী থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে সব ঈদের জামাতে। এ জেলায় প্রধান জামাত হয় সকাল ৮টায় বরিশাল শহরের কালেক্টরেট জামে মসজিদে। প্রধান জামাতে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদের প্রবেশ পথে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। হাতেও দেওয়া জীবাণুনাশক। নামাজ শুরুর আগে সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাতারে দাঁড়ান। সবার মুখে দেখা গেছে মাস্ক।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বরিশাল শহরের কোথাও খোলা জায়গায় জামাত হয়নি।

জেলা পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে চারটি ও জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে তিনটি জামাত হয়েছে। এছাড়া জামে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, জামে কশাই মসজিদ ও বন্দর রোড কেরামতিয়া জামে মসজিদে দুটি করে জামাত হয়েছে।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে ঈদের প্রধান জামাত হয়েছে জেলা শহরের আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দান মসজিদে। সকাল ৮টায় প্রথম জামাত হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সিটি মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই মসজিদে ঈদের জামাতে অংশ নেন।

সকাল পৌনে ৯টা ও সাড়ে ৯টায় আরও জামাত হয় এ মসজিদে। নামাজ শেষে মহামারী ও বন্যার দুর্যোগ থেকে রক্ষায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

কুমিল্লা

কুমিল্লায় যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।

সকাল ৮টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড় এলাকায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জেলার প্রধান জামাত হয়। একই সময় শহরের ১৩৫টি জামে মসজিদে জামাত হয়েছে।

নামাজ শেষে দেশ-জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে নামাজ শেষে কোলাকুলি করতে দেখা যায়নি। তবে নামাজ শেষে অনেকেই কাছাকাছি দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

বাগেরহাট

বাগেরহাটে করোনাভাইরাস মহামারী থেকে মুক্তি কামনায় ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাত হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল সাড়ে ৭টায় ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদে জেলার প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিরা ঈদের নামাজ পড়েন।

বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সবাইকে মূখে মাস্ক পরতে দেখা গেছে। নামাজ শেষে কোলাকুলি না করে কুশলাদি বিনিময় করেছেন।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঈদুল ফিতরে যেমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই নামাজ পড়েছিলেন তেমনি ঈদুল আজাহাতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনেছেন।

জেলার সব মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন নামাজ পড়া হয় সেজন্য মাইকিং করে সচেতন করা হয়।

মাগুরা

সামাজিক দূরত্ব মেনে সকাল সাড়ে ৮টায় জেলার প্রথান ঈদের জামাত হয়েছে শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। পৌরমেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুলসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের কর্মকর্তা এ জামাতে অংশ নেন।

জেলা প্রশাসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তার পক্ষে অংশ নেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহববুর রহমান।