শুক্রবার সকালে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে অনেককে গাদাগাদি করে ঈদের জামাতে অংশ নিতে দেখা গেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
দিনাজপুর
দিনাজপুর সদর, চিরিরবন্দর ও কাহারোল উপজেলার কয়েকটি এলাকায় অল্পকিছু পরিবার শুক্রবার ঈদ করেছে।
সকাল সাড়ে ৮টায় দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টিতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক ঈদ জামায়াতে শতাধিক লোক অংশ নেন। এখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। সবাই পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেননি।
এছাড়া জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার জগন্নাথপুর ও সাইতাড়া, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ, গড়েয়া এবং বিরল উপজেলার বালান্দোর গ্রামের অনেকে শুক্রবার ঈদ করেছেন।
ভোলা
ভোলার ছয় উপজেলার ২০ গ্রামে আগাম ঈদ উযাপন করেছেন অনেক মানুষ।
সকাল ১০টার দিকে জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামের মজনু মিয়ার বাড়ির সামনে একটি জামাত হয়। এতে চার গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার শহরে সার্কিট হাউস এলাকার একটি বাড়িতে সকাল সাড়ে ৬টায় প্রায় অর্ধশত মানুষ ঈদের নামাজ পড়েন।
নামাজ শেষে তারা দেশ-জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করেন। পরে তারা পশু কোরবানি করেন। তারা সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজ আদায় করলেও পরে কোলাকুলি করেন।
ওই নামজে ইমামতি করেন আব্দুল মাওফিক চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছর ধরে তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করছেন। আগে তারা বাসার ছাদে নাজাম পড়তেন। কয়েক বছর উঠানে নামাজ পড়ছেন।
মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের অনেক মানুষ ঈদ উদযাপন করেছেন। সদর উপজেলার আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর, বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দির ও কংসপুরা এলাকায় ঈদ হয়েছে।
গ্রামগুলোর কয়েক হাজার মানুষ কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করছেন।
শিলই গ্রামে ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মনিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।
তিনি বলেন, “পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় চান দেখা গেলে সেই অনুযায়ী ঈদ করা উচিত। তাই আমরা ঈদ করছি।”
সকালে নামাজ শেষে তারা যথারীতি পশু কোরবানি করেছেন।