ফরিদপুর শহর আ. লীগ সভাপতি অর্থপাচার মামলায় গ্রেপ্তার

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভীকে অর্থপাচার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যে মামলায় দলটির একই কমিটির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2020, 12:14 PM
Updated : 31 July 2020, 03:35 PM

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুরের নিজ বাড়ি থেকে নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভীকে এবং হারুকান্দির বাড়ি থেকে বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তার আরেক নেতা বিল্লাল হোসেন জেলা শ্রমিকলীগের অর্থ সম্পাদক।

গত ৭ জুন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসপি বলেন, রুবেল ও বরকতকে অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রথমে দুই দিন পরে আরও তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

“রিমান্ড শেষে শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় দুই ভাই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কেরাণিগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাঠানো হয়।”

এসপি বলেন, সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে নাজমুল ইসলাম লেভী ও বিল্লাল হোসেনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন দুই হাজার কোটি টাকার অবৈধ অর্থ ও সম্পদ আয় ও পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারী নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়াও মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখলের অভিযোগ আনা হয় এজাহারে। এভাবে উপার্জিত অবৈধ অর্থ দিয়ে এসি, নন এসিসহ ২৩টি বাস, ড্রাম ট্রাক, বোল্ডার, পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন, এ টাকার উল্লেখযোগ্য অংশ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন তারা।

এ হামলা মামলা ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আরো আটটি মামলা হয়েছে;  যার মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অস্ত্র, মাদক, হত্যা, চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগে মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাদের কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।