চাপ সামাল দিতে না পারায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অন্তত পাঁচবার গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি কাজী আয়ুবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সড়কে কোনো জট ছিল না। শুক্রবার ভোরের দিকে হঠাৎ করেই যানবাহনের চাপ অত্যধিক বাড়ে।
এতে যান চলাচলের স্বাভাবিক গতি কমে যায়। কোনো কোনো এলাকায় ধীরগতিতে চলতে শুরু করে সব গাড়ি।
ওসি রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় থেকে টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত অন্তত ৩০ কিলোমিটার জুড়ে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কোথাও কোনো লাগাতার যানজটের ঘটনা ঘটেনি।
লাগাতার যানজট না হলেও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সারা রাত রাস্তায় যানবাহনে আটকা পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মো. আকরাম হোসেন নামে একজন প্রাইভেট কার চালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় তিনি ঢাকার রামপুরা থেকে রওনা হয়েছেন। যাবেন নাটোর। শুক্রবার সকাল ১০টায়ও তিনি টাঙ্গাইল পার হতে পারেননি।
“ঢাকার মহাখালী থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রওনা হয়েছি। কিন্তু সারা পথ জ্যাম ঠেলে এখনও এখানে। কখন পৌঁছাতে পারব তা জানি না।”
হঠাৎ করেই সড়কে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যানবাহনের চাপে জট লাগছে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।
তিনি বলেন, গত ঈদের আগের দিন সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ হাজারের মতো গাড়ি পাড় হয়েছে। সেখানে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পার হয়েছে ৪৮ হাজার ৩২১টি গাড়ি। তাছাড়া কেউ কেউ ওভারটেক করতে গিয়ে জট লাগায়।
“পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমি নিজে সড়কে আছি। আমার পুলিশ সদস্যরা সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন যাতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারেন।”
সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত অন্তত পাঁচবারে এক ঘণ্টা ২৯ মিনিট বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানচলাচল বন্ধ ছিল তিনি জানান।
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারী আমলে না নিয়ে লোকজনকে গাদাগাদি করে চলতে দেখা গেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় দায়িত্বরত টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক ইফতেখার নাসির রোকন বলেন, দূর পাল্লার বাস, ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহনে যাত্রীদের গাদাগাদি করে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ কারণে করোনাভাইরাস বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে।