বিএরটিসি বাসের দুইজন চালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি চাকা চুরি করার সময় দুই চোরকে তারা হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিয়েছেন।
প্রায় পাঁচ মাস ধরে অলস পড়ে থাকার সময় ১৪টি বাস থেকে ২৬টি চাকা ও ২৪টি ব্যাটারি ছাড়াও অন্যান্য যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে বলে তারা জানান।
স্থানীয় আব্দুল কাদের ও হযরত আলী নামে দুই ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, যন্ত্রাংশ চুরির সঙ্গে বিআরটিসি বাসের লোকজনই জড়িত। তাদের শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার পরও চুরি হয় কিভাবে?
এছাড়া অলস পড়ে থাকায় বাসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
চুরির বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
বিআরটিসির ময়মনসিংহের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো.কামরুজ্জামান বলেন, ময়মনসিংহ শহরের শম্ভুগঞ্জে ডিপো তৈরির কাজ চলছে। ডিপোতে বাস না রাখার কারণে যন্ত্রাংশ চুরিসহ বাসগুলো রোদ-বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
“আর চাকা চুরির সময় দুইজনকে ধরে আমরা পুলিশে দিয়েছি। কোনো চুরির সঙ্গে আমাদের কোনো লোক জড়িত নয়।”
ময়মনসিংহে বিআরটিসির ৪৭টি বাস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শতাধিক কর্মচারী রয়েছেন। তাদের জন্য প্রতি মাসে সরকারের ১৩ লাখ টাকা ব্যয় হয় বলে জানান তিনি।
২০১৯ সালের ২৫ মার্চ ময়মনসিংহ থেকে বিভিন্ন রুটে চালু করা হয় বিআরটিসির ৪৭ টি বাস। করোনাভাইরাসের কারণে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শহরের মাসকান্দায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে রাখা হয়েছে বিআরটিসির এই বাসগুলো।
কোতোয়ালি থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, ১৫ জুলাই বিআরটিসি বাসের যন্ত্রাংশ চুরির একটি মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা জানার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।