মাদারীপুরে বন্যার অবনতি, পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার

মাদারীপুরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত সব কয়টি নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেল্যার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনেই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2020, 08:03 AM
Updated : 29 July 2020, 08:37 AM

বুধবার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি মাওয়া পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে পেয়ে বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও আড়িয়াল খাঁ পানি ২ সেন্টিমিটার বেড়ে পেয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মাদারীপুরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি। 

এদিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে শিবচরের পদ্মান নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের বন্দরখোলা, কাঁঠালবাড়ি, চরজানাজাত, মাদবরেরচর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এছাড়া কুমার নদ ও আঁড়িয়াল খা নদের পানি বৃদ্ধির ফলে রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর, ইশিবপুর, বদরপাশা ইউনিয়ন ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল, বাহাদুরপুর, শিরখাড়া, ছিলারচর, পাঁচখোলা, কালিকাপুর, খোয়াজপুর, মস্তফাপুর, পেয়ারপুর ও ইউনিয়নের অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর, বাঁশগাড়, সাহেবরামপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নিচু এলাকায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।

এছাড়া বন্যা কবলিত ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক স্থানে নদী বাঁধ ও কাঁচাপাকা সড়ক ভেঙে পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ। এ সকল এলাকার বসতবাড়ি উঠান তলিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ, ও গৃহপালিত পশু।

ব্যনার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী পার্থ বলেন, “যেসব এলাকা নদী ভাঙন হচ্ছে আমরা বন্যার পরে সেসব এলাকা নদী ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ করব। যাতে পরবর্তীতে ভাঙন ঠেকাতে পারি। বর্তমানে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।”

জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, মাদারীপুরে বন্যায় ৩৩ হাজার ৭০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনে ৯৮২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব লোকজনদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সরকারিভাবে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৮টি।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে পাঁচশ মেট্রিকটনের বেশি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে এবং পরে আরও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।