বান্দরবানে ৪৬৫০০ পরিবারে ইউএনডিপির ত্রাণ বিতরণ শুরু

করোনাভাইরাসের সংকটে বান্দরবানের অসহায় হয়ে পড়া সাড়ে ৪৬ হাজার পরিবারকে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।

বান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2020, 06:22 PM
Updated : 28 July 2020, 06:22 PM

মঙ্গলবার সকালে বালাঘাটার ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে উদ্বোধন করেন বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য সিংইয়ং ম্রো।

সিংইয়ং বলেন, করোনাভাইরাসে কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছিল। কাজ হারিয়ে সংকটে পড়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসলেও এখনও সবাই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

বালাঘাটা ভোকেশনাল ইন্সটিউিটের ত্রাণবিতরণ কার্যক্রম

পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি ‘সিএইচটি-ইউএনডিপি’ এর আওতায় জেলার ৪৬ হাজার ৫০০ পরিবারকে এ ত্রাণ বিতরণের কথা রয়েছে। এসব পরিবারদের ৯টি ত্রাণসামগ্রীর বিতরণে মোট ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানান ইউএনডিপির জেলা ম্যানেজার খুশী রায় ত্রিপুরা।

ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল ১৫ কেজি, আলু ৫ কেজি, ডাল ২ কেজি, পেঁয়াজ ১ কেজি, লবণ ১ কেজি, তেল ১ লিটার, মাস্ক ৪ পিস এবং ৭ প্যাকেট শাক-সবজির বীজ।

অেন্যদিকে, এরই মধ্যে মঙ্গলবার সদর উপজেলা বালাঘাটা এবং চিমিডলুপাড়া দুটি এলাকায় কুহালং ইউনিয়নের মোট ১২৬০ পরিবারের মাঝেও এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বালাঘাটা ভোকেশনাল ইন্সটিউিটের ত্রাণবিতরণ কার্যক্রম

এরপর বালাঘাটা ভোকেশনাল ইন্সটিউিট প্রাঙ্গনে ৫৭৫ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

ত্রাণসামগ্রী নিতে আসা চড়ুই পাড়ার বাসিন্দা উনুচিং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, করোনা সংকটে ধার করে চলছিল সংসার। ত্রাণ পেয়ে খুশি হয়েছি। পরিবারে সদস্য সংখ্যাও বেশি রয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীও বেশি পেয়েছি।

জর্ডান পাড়ার বাসিন্দা রংগমনি ত্রিপুরা জানান, তাদের পাড়ার কেউ বাদ যায়নি; পাড়ার সবাই ত্রাণ পেয়েছে।

চিমিডলুপাড়া এলাকায় ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করছেন বিভিন্নপাড়াবাসী

বালাঘাটার পার্শ্ববর্তী ভরাখালীর বাসিন্দা মো. জামাল জানান, তাদের এলাকার ৭০ পরিবার ত্রাণ পেয়েছে।

অন্যদিকে চিমিডলুপাড়া ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যসাপ্রু মারমা। উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি জেলা ম্যানেজার খুশীরায় ত্রিপুরা, কুহালং ইউপি চেয়ারম্যান সানুপ্রু মারমা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পাইহ্লাঅং মারমা এবং ইউপি মেম্বাররা।

সেখানে ৬৮৫টি পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

চিমিডলুপাড়া এলাকায় ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করছেন বিভিন্নপাড়াবাসী

ত্রাণ পেয়ে গুংগুরুমুখ খিয়াংপাড়ার বাসিন্দা সুইক্রাচিং খিংয়াং এবং মংচংঅং খিয়াং জানান, পাড়ার বেশির ভাগ সবজি চাষি ও কৃষিজীবী। করোনা সংকটে ঠিকমত সবজি বিক্রি করা যায়নি। আর বিক্রি যা হয়েছে সব কম দামে।

বটতলীর বাসিন্দা আমিন উল্লাহ জানান, ত্রাণ দেওয়ার কথা শুনে গ্রামের ১৭ পরিবার সবাই এসেছে।