পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে দম্পতির ঝাঁপ, স্বামী নিখোঁজ

পঞ্চগড়ে মীরগড় সীমান্তে করতোয়া নদীতে এক দম্পতি ঝাঁপ দেওয়ার পর স্ত্রী উদ্ধার হলেও স্বামী নিখোঁজ রয়েছে।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2020, 05:53 PM
Updated : 28 July 2020, 05:53 PM

মঙ্গলবার বিকালে ভারতীয় সীমান্তের কাছে ওই নদীতে ঝাপ দেন লতিফুল ইসলাম কংরেজ (৪২) ও তার স্ত্রী সাহেদা বেগম (৩৮)।

এ দম্পতি শহরতলীর ধাক্কামারা ইউনিয়নের মীরগড় পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার আনিসুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় আমরা বিভিন্ন রকম তথ্য পাচ্ছি। কেউ বলছেন-তারা দুজন গোসল করতে গিয়ে একজন নিখোঁজ হয়েছে। আবার কেউ বলছেন ঘাস কাটতে গিয়ে ভারতীয়দের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন।

“তবে সেখানে কী ঘটেছিল আমরা এখনো নিশ্চিত নই। আমাদের বিজিবির সদস্যরা প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছে। শিগগিরই আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে পারব।”

উদ্ধার হওয়া সাহেদা বেগম ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ধাক্কামারা ইউপি ইউপি সদস্য জাহের আলী জানান, মঙ্গলবার বিকালে লতিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সাহেদা বেগম ভারতীয় সীমান্তের কাছে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান। এ সময় ভারতীয় চা বাগানে কাজ করা ভারতীয় নাগরিকরা তাদের গুলতি এবং দা নিয়ে ধাওয়া করে। এতে প্রাণ ভয়ে পালানোর সময় তারা করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দেন। নদীতে প্রবল স্রোত থাকায় কংরেজ নিখোঁজ হন।

এ সময় সেখান থেকে কিছু দূরে সাহেদাকে নদীতে হাবুডুবু খেতে দেখে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। পরে সাহেদার কথা অনুযায়ী তার স্বামীকে নদীতে খুঁজতে থাকে স্থানীয়রা বলে জানান তিনি।

খবর পেয়ে সন্ধ্যার পর পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলেও ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় এবং  স্রোতের গতি বেশি থাকায় উদ্ধার অভিযান চালাতে পারেনি তারা।

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা নিরঞ্জন সরকার বলেন, “আমাদের কোন ডুবুরি নেই। এছাড়া করতোয়া নদীর ওই অংশটি ভারতীয় এলাকা এবং প্রবল স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযান চালাতে পারিনি।

“তবে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য রংপুর থেকে ডুবুরি আনার চেষ্টা চলছে।”