মঙ্গলবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণকালে এ ঘটনা ঘটে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে ৪৪ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল ৪ হাজার ৪০৩ জনের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছিল। এজন্য আগেই ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে তালিকা করে স্লিপ বিতরণ করা হয়।
তবে চাল বিতরণের শেষ দিকে ১২২ জন স্লিপ থাকার পরও চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকেন। এ সময় বঞ্চিতরা বিক্ষোভ শুরু করলে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান বঞ্চিত ১২২ জনকে বাজার থেকে চাল কিনে দেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বলেন, ইউপি সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া ছিল যেন ইউনিয়নের ৬১টি মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু তারা ৪ হাজার ৪০৩ জনকে স্লিপ দেওয়ার পর অতিরিক্ত ১২২ জন ইমাম ও মোয়াজ্জিনকেও স্লিপ বিতরণ করেন। এজন্য বিতরণের শেষে দেখা যায়, ১২২টি স্লিপের লোকজন চাল বঞ্চিত হয়েছেন।
“পরে ইউএনওর উপস্থিতিতে তাদেরকে নিজের অর্থে চাল কিনে দিয়েছি।”
তবে ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া স্লিপ তৈরি করে বিতরণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইউএনও।