গত ২২ জুলাই ওই ফেরি ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যায়; এরপর থেকে জোড়াতালি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এ ফেরিঘাটয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এবং কয়েকশ যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, নছিমনসহ অন্যান্য যানবাহন খুলনা, নড়াইল, যশোর, নওয়াপাড়া,বেনাপোল বন্দরসহ ১০ জেলায় চলাচল করে।
কাশিয়ানী উপজেলার বুধপাশা গ্রামের সালাউদ্দিন মৃধা সুজন বলেন, “মধুমতি নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে নদীর দুই পাড়ের গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে যানবাহন পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পানি পেরিয়ে ফেরি ও খেয়ায় উঠতে হচ্ছে।”
কালনা ফেরিঘাটের ইজারাদার মো. মঞ্জুর হাসান বলেন, “মধুমতি নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফেরিঘাটের পন্টুনের দুই পাড়ের গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। নদীতে ভাটার সময় কিছুটা দুর্ভোগ কমলেও জোয়ারের সময় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। এতে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে; ঘাট পারাপারে যাত্রীদের দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।”
ফেরি চালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, “গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় ফেরিতে গাড়ি ওঠা-নামায় সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া নদীতে স্রোতও তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ কারণে ফেরি পারাপারে বেশি সময় লাগছে।”
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী সাকিরুল ইসলাম বলেন, “মধুমতি নদীতে জোয়ারের সময় কালনা ঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।”
ফেরি ঘাট পরিদর্শন করে সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গ্যাংওয়েতে বালুর বস্তা ফেলা হবে বলে জানান তিনি।