শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে পরিস্থিতি সামাল দিতে রোববার খনির ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান রয়েছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকার ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণার সময় ২৬ মার্চ থেকে খনি থেকে কয়লা তোলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে এ খনিতে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি এবং সিএমসির অধীনে দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত প্রায় ১১শ’ বাংলাদেশি শ্রমিকের উপার্জন বন্ধ হয়ে যায়। তবে এক মাস পর ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনা শ্রমিকদের দিয়ে সীমিত পরিমাণে কয়লা উত্তোলন শুরু করে।
এ পরিস্থিতিতে কাজের দাবিতে আন্দোলন করে শুরু করে বেকার হয়ে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকরা।
এই গ্রেপ্তার ও মামলার প্রতিবাদে রোববার খনি এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করলেও খনি ফটকে পুলিশ অবস্থান নেওয়ায় সেখানে যেতে পারেনি।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চীনা শ্রমিক দিয়ে সীমিত আকারে কয়লা উত্তোলন শুরু করছে।
খনির এ শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, করোনা পরিস্থিতি এবং কয়লা সংকট বিবেচনায় ‘ভূগর্ভে কাজে পারদর্শী’ ৪১০ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে নমুনা পরীক্ষা করে কাজে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ প্রস্তাব অমান্য করে ‘শ্রমিক নেতারা তাদের মনোনীত শ্রমিকদের কাজে নিতে চাপ দেন’ এবং সড়ক অবরোধ করে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেন।
তবে এ বিষয়ে শ্রমিকপক্ষের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করা এই ১১শ শ্রমিক দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করায় যেদিন কাজ থাকে না সেদিনের জন্য তারা কোনো মজুরিও পান না।