খুলনায় পাটকল বন্ধের প্রতিবাদে কর্মসূচি, ৬ জনকে ধরেছে পুলিশ

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ডাকা কর্মসূচির প্রচারকালে খুলনায় ছয় জনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2020, 07:18 PM
Updated : 24 July 2020, 07:18 PM

শুক্রবার রাতে খুলনা নগরীর খালিশপুর থানাধীন প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক কলোনি এলাকা থেকে তাদের ধরা হয় বলে খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার জানান।

এই ছয় জন হলেন রুহুল আমিন, সুজয় শুভ, নিয়াজ মোর্শেদ দোলন, অনিক ইসলাম, হৃদয় বিশ্বাস ও মোস্তাক আহমেদ।

সম্প্রতি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ করে এসব কারখানার প্রায় পঁচিশ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীকে স্বেচ্ছা অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে এসব পাটকল সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) চালু হবে বলেও জানানো হয়।

এসব কারখানায় কর্মরতদের ভবিষ্যতে চালু হওয়া কারখানায় চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকবে বলেও জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

এর আগে গত ৫ জুলাই ‘পাটশিল্প রক্ষা যুব জোট’ আহ্বায়ক সদ্য উৎপাদন বন্ধ হওয়া ইস্টার্ন জুট মিলের শ্রমিক অলিয়ার রহমান ও জোটের উপদেষ্টা প্লাটিনাম জুবিলি জুটমিলের শ্রমিক নূর ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

‘পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে তারা আগামী রোববার [২৬ জুলাই] খালিশপুরের প্লাটিনাম মিল গেটে মানববন্ধন আহ্বান করেছেন।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বিজেএমসি বাতিল করে মন্ত্রণালয়ের অধীনে টাস্কফোর্স গঠন করে রাষ্ট্রায়ত্ত এসব পাটকলের আধুনিকায়ন, আসন্ন ঈদের আগে শ্রমিকদের ঈদ বোনানসসহ ২০১৯ সালের বকেয়া ছয়টি বিল প্রদান, ২০১৬ সালে অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের পাওনাদি এককালীন পরিশোধ, শ্রমিক নেতা অলিয়ার রহমান ও নুর ইসলামের মুক্তি এবং রাষ্ট্রীয় পাটকলের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।

থানা থাকা শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদ সংগঠক রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা পাটকল রক্ষায় কর্মসূচি দিয়ে লিফলেট বিতরণ করছিলেন। এ সময় তাদের ‘আটক’ করা হয়।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালুর দাবিতে রোববার খালিশপুরে প্লাটিনাম মিল গেটে তাদের সমাবেশ করার কথা রয়েছে; সমাবেশ সফল করার জন্য তারা লিফলেট বিলি করছিলেন বলে তিনি জানান।

তবে খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার বলেন, “তাদের আটক করা হয়নি। লিফলেট বিলির সময় থানায় ডেকে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”