বৃহস্পতিবার সরাইগাছি গ্রামে এ ঘটনার পর স্থানীয়রা পোরশা থানায় একটি মামলা করেছেন।
গ্রামের ভাদুয়া হাসদা নামে এক আদিবাসীর করা এই মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়েছে বলে পোরশা থানার ওসি শফিউল আজম খান জানান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সরাইগাছি গ্রামের পাশে তিন বিঘা জমির উপর শত বছরের প্রাচীন একটি মহাশ্মশান রয়েছে। সেখানে গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন মৃতদেহ সৎকার করে আসছেন যুগ যুগ ধরে। স্থানীয় হারুন অর-রশিদ নামে এক ব্যাক্তি কিছু দিন ধরে ওই জমি তাদের দাবি করে দখলের চেষ্টা করে আসছেন।
অভিযোগে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দুপূর ১২টার দিকে হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ১২/১৪ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও দেশি অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ওই শ্মাশানের জায়গা দখলের চেষ্টা করেন।
এ সময় স্থানীয় আদিবাসী লোকজন বাধা দিলে তাদের হত্যা করে যেকোনো মূল্যে ওই সম্পত্তি দখল করার হুমকি দিয়ে তারা চলে যায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ভাদুয়া হাসদা, আইচন পাহানসহ ওই গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, হারুন অর রশিদ গং দীর্ঘদিন থেকে তাদের শত বছরের পুরাতন ওই শ্মশান দখলের পাঁয়তারাসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছেন।
বৃহস্পতিবারের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেনি এবং কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি।
বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতা ও আতংকের মধ্যে রয়েছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে হারুন অর রশিদ বলেন, “ওই জমি আমাদের ক্রয করা সম্পত্তি। উল্টো ওই আদিবাসীরাই আমাদের জমি জবরদখল করে রেখেছে।”
আদিবাসী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুকূল পাহান বলেন, আদিবাসীদের সম্পত্তি ধীরে ধীরে বিভিন্ন মানুষ দখল করে নিচ্ছে কিংবা নেওয়ার চেষ্টা করছে। এটিও তারই অংশ।
পোরশায় আদিবাসীদের শ্মশান ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতার পাশাপাশি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তিনি।
পোরশা থানার ওসি শফিউল আজম খান বলেন, মহাশ্মশান দখলের চেষ্টা ও হুমকির ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিষয়টি তদন্ত করার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।