গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত জেলার বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, সদর ও লাখাই উপজেলার হাওরে এ অভিযান চলে। এতে ‘প্রায় অর্ধকোটি টাকার’ জাল জব্দ করা হয়েছে বলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান।
হবিগঞ্জের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহজাদা খসরু বলেন, এবার আমরা শুরু থেকেই মাছের পোনা নিধনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। প্রায় দিনই বিপুল পরিমাণ দেশীয় মাছের পোনা জব্দ করে হাওরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
“পর্যাপ্ত পানি আসায় এবার মাছের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু যেভাবে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে মাছের বৃদ্ধি এবং ফলনের সম্ভাবনা বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।”
তবে এ অবৈধ জালের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানে প্রশাসনের সাথে মৎস্য বিভাগ অংশ নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
হবিগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, “আমরা সবাই মিলে এবার কৃষকের ঘরে বোরো ধান তুলতে পেরেছি। সবাই মিলে মাছেরও বাম্পার ফলন নিশ্চিত করতে চাই।”
হাওরে প্রতিদিনই এ অভিযান চালানোর কথা জানান তিনি।
শুক্রবার জেলা ডিসি কামরুল হাসান অভিযানে অংশ নিয়ে ২৫ হাজার মিটার জাল জব্দ করেন। তিনি বানিয়াচং উপজেলার পৈলারকান্দি, মন্দরী, মুরাদপুর ও মক্রমপুররে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েছিলেন বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে শুক্রবার বিকালে লাখাই উপজেলার বুল্লা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৯৫০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং। এ সময় এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলেও জানান মৎস্য কর্মকর্তা।