বৃহস্পতিবার বিকালে কার্পাসডাঙ্গায় এ ঘটনা ঘটে বলে দামুড়হুদা থানার ওসি আব্দুল খালেক জানান।
এরা হলেন গৃহকর্তার মেয়ে আসমা খাতুন (১৫) ও তাদের দোকান কর্মচারী হাসিবুল ইসলাম (২৫)।
আসমা খাতুন কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ার বাসিন্দা এরশাদুল ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
ওসি আব্দুল খালেক জানান, এরশাদুল ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে গত দুদিনের বৃষ্টিতে জমা পানি পরিষ্কার করতে নামেন গৃহকর্তার মেয়ে আসমা খাতুন। কিছুক্ষণ পরেও উঠে না আসায় ট্যাংকে নামেন এরশাদুলের দোকানের কর্মচারী হাসিবুল ইসলাম।
“এরপর দুজনেরই কোনো সাড়া না পেয়ে এলাকাবাসী দর্শনা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ট্যাংক থেকে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।”
দর্শনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, “সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে পানি জমার ফলে সেখানে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল। ফলে সেখানে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এ অবস্থায় কেউ এর ভিতরে প্রবেশ করলে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। এক্ষেত্রেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
লাশ উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।