বৃহস্পতিবার সিলেটের মুখ্য বিচারিক হাকিম কাওছার আহমদের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান।
অভিযোগপত্রের আসামিরা হলেন সিলেটের এনামুল হক, গোলাপগঞ্জের জায়েদ আহমেদ, ব্রাম্মণবাড়িয়ার আব্দুর রাজ্জাক, নোয়াখালীর মনজুর হোসেন রুবেল, ইয়াকুব রিপন ও কথিত আন্তর্জাতিক চক্রের হোতা লিবিয়া প্রবাসী নাসির উদ্দিন রুমান ওরফে গুডলাক।
এদের মধ্যে এনামুল হক ও আব্দুর রাজ্জাক কারাগারে রয়েছেন। বাকিরা পলাতক।
অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ঢাকার সাইফুল ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, মানবপাচারকারী এই চক্রটি স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে বিদেশ যেতে আগ্রহীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়া নিয়ে ঝুঁকিপুর্ণ ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকাযোগে ইতালি পাঠাত। এছাড়া এ চক্রটি লিবিয়ায় মানুষকে জিম্মি করে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত বলেও তদন্তে উঠে এসেছে।
তিনি জানান, ২০১৯ সালের ৯ মে ভূমধ্যসাগর হয়ে লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে বেশকিছু বাংলাদেশিসহ অন্তত ৬৫ জন মারা যান। বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশিরভাগই সিলেটের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ মে রাতে সিলেটের এনামুল হকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভূমধ্যসাগরে নিহত আব্দুল আজিজ নামের একজনের ভাই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুহিদপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন।
শহীদুল ইসলাম আরও জানান, সিআইডির ইকোনমি ক্রাইম স্কোয়াড প্রায় ১৪ মাস তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলায় ১৯ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।
অভিযোগপত্রের আসামি নাসির উদ্দিন রুমান ওরফে গুডলাক আন্তর্জাতিক চক্রের হোতা এবং লিবিয়া প্রবাসী বলে শহীদুল ইসলাম জানান।