নিহত অঞ্জলি রানী দাস (৬৫) উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের ইন্দ্রজিৎ দাসের স্ত্রী।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রাকিব জানান, বছর খানেক আগে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে অঞ্জলী বাড়িতে একা থাকতেন। একমাত্র ছেলে বিদেশ থাকেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ছোট বোন পূর্ণিমা দাস ও তার স্বামী খোকন দাস এসে অঞ্জলির ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। অঞ্জলির মোবাইল ফোনও বন্ধ পান তারা। পরে তারা খোলা জানালা দিয়ে ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখেন, অঞ্জলি উপুড় হয়ে পড়ে আছেন।
তার সাড়া না পেয়ে তারা পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের তালা ভেঙে ভেতর থেকে অঞ্জলির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেনসহ সিআইডি ও পিবিআইয়ের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ওসি বলেন, অঞ্জলিকে খুনি শুধু গলা কেটেই হত্যা করেনি, তার হাতে ও বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করেছে। এ ঘটনায় একজনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় অঞ্জলির ভাই অমর দাস বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। তবে এতে তিনি কাউকে আসামি করেননি।
অঞ্জলির বোন পূর্ণিমা দাস বলেন, সোমবার রাতে তিনি তার বোনের সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেছিলেন। পরের দিন মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে বোনের খোঁজ নিতে যান তিনি।