সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে হাবিবুর রহমান শিমুল নামে এই ব্যক্তিকে তারা আটক করার পর শিশুদের উদ্ধার করেন।
হাবিবুর উপজেলার ধানহাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে মাদকসেন করে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তালাক দিয়ে তার স্ত্রী দুই শিশুসন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে গেছেন।
তার স্ত্রীর অভিযোগ, দুই সন্তানকে বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিজের কাছ থেকে নিয়ে যান হাবিবুর। হাবিবুর শিশুদের বাড়ি নিয়ে চেয়ারে বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে নির্যাতনের ভিডিও হাবিবুর তার স্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন।
স্ত্রী এই ভিডিও ফেইসবুকে পোস্ট করে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই সন্তানকে চেয়ারে বসিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন হাবিবুর। একই সঙ্গে গালাগাল করে বলছেন, “তোর মা আমার কথা শোনে না কেন?”
শিশুদের মা বলেন, “বিয়ের পর থেকে প্রায়ই আমাকে মারধর করত হাবিবুর। কয়েকবার সালিশের পর বাড়িতে নিয়ে আবার মারধর করে। এজন্য তাকে তালাক দিতে বাধ্য হই। এখন আবার আমাকে ফিরিয়ে নিতে সন্তানদের মারধর করছে।”
২০০৬ সালে তাদের বিয়ে হয় বলে তিনি জানান।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, দুই ছেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মা শিশুনির্যাতন দমন আইনে হাবিবুরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।