মঙ্গলবার দুপুরে শহরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত শাখা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এই নির্দেশ দেন জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।
তার নেতৃত্বে ওই অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
সরকারিভাবে বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলে ফি দিতে হয় পাঁচশত টাকা। আর বেসরকারিভাবে বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলে ফি দিতে হয় এক হাজার টাকা।
জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ না করে সরকারি বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ল্যাব এইডের লোকজন। তাদের কার্যালয়ে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই তাদেরকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ এবং এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের জাহিদুল ইসলাম নামের এক রোগীর কাছ থেকে করোনাভাইরাস নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য সাড়ে চার হাজার টাকা নেন ল্যাব এইড নারায়ণগঞ্জ শাখার লোকজন। ওই টাকা নেওয়ার বিপরীতে রশিদ দেওয়া হয়।
“ওই রোগীর বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল; কিন্তু তারা রোগীর বাড়ি না গিয়ে শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় অবস্থিত নবনির্মিত জুডিশিয়াল কোর্টে সরকারি বুথে ডেকে আনেন ল্যাব এইডের মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ রিপন। সেখান থেকেই ওই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।”
তিনি বলেন, এ বিষয়ে নমুনা দিতে আসা রোগী ও দায়িত্বপ্রাপ্তরা অভিযোগ করলে পরিদর্শনে যান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এবং অভিযোগের সত্যতা পান।
সিভিল সার্জন ইমতিয়াজ আরও বলেন, সরকারিভাবে বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলে রোগীকে ফি দিতে হয় ৫০০ টাকা। কিন্তু বেসরকারিভাবে বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলে রোগীকে দিতে হয় এক হাজার টাকা। কিন্তু ল্যাব এইড বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা ও পরীক্ষার জন্য ওই রোগীর কাছ থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা নিয়েছে।
“কিন্তু বাড়ি থেকে নমুনা না নিয়ে ওই রোগীকে ডেকে নমুনা নেওয়ার জন্য সরকারি বুথে নিয়ে গেছেন।”
অভিযোগের বিষয়ে ল্যাব এইড নারায়ণগঞ্জ শাখার নির্বহী (প্রশাসন) তানভীর আলম বলেন, “নমুনাটি বাড়ি থেকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোগী বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে রাজি না হওয়ায় তাদের লোক সরকারি বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল। এই ঘটনায় সিভিল সার্জন তাদের শাখায় এসে তাদেরকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
ল্যাব এইডের লোকজন যে কাজটি করেছে সেটি ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন এই কর্মকর্তা।