মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় মাহিগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
গ্রেপ্তাররা হলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহকারী সাহের জামান (৫৩), পীরগাছা উপজেলার পাঠক শিকড় গ্রামের খন্দকার আব্দুস সালাম (৫৫), নগরীর মাহিগঞ্জ দেওয়ানটুনি গ্রামের আব্দুর রহমান (৪৫), মাহিগঞ্জের হাশেম রেজা (৪২), কমল চন্দ্র রায় (৪১), বকচি গ্রামের ধীরেন চন্দ্র বর্মন (৩৪) ও দীপাল চন্দ্র বর্মন (৩০)। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অফিস সহকারী ছাড়া এদের দুইজন চোরাকারবারি চক্রের সদস্য এবং বাকি চারজন ফার্মেসির মালিক।
উপ-পুলিশ কমিশনার মুত্তাকী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দেওয়ানটুলি থেকে আব্দুর রহমানকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
“তার দেওয়া তথ্যে মাহিগঞ্জ থেকে ফার্মেসি মালিক হাশেম ও কমল এবং রঘুবাজার থেকে ধীরেন ও দীপালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকেও বিপুল পরিমাণ বিনামূল্যের সরকারি ওষুধ উদ্ধার করা হয়।”
গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ২৮ প্রকারের প্রায় দুই লক্ষ টাকার বিনামূল্যের সরকারি ওষধ উদ্ধার করা হয়েছে। এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সন্ধান করা হচ্ছে। একই সাথে গ্রেপ্তারকৃতেদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে বলেন তিনি।
চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে বিনামূল্যে বিতরণের সরকারি ওষুধ সংগ্রহ করে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করত। এ চক্রের সাথে অসাধু ও দালাল প্রকৃতির লোক যুক্ত হয়ে সরকারি ওষুধ বিভিন্ন ফার্মেসিতে সরবরাহ করত বলে জানায় পুলিশ।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) মো. ফারুক আহমেদ, মাহিগঞ্জ থানার ওসি মো. আখতারুজ্জামান প্রধান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহ্ আলম সরদার প্রমুখ।