সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে বগুড়া সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসন ও র্যাব পরিচালিত ওই অভিযানে টাপেন্টাডল বেচার অভিযোগে এ সাজা দেওয়া হয়।
ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত টাপেন্টাডল জাতীয় ওষুধকে মাদকসেবীরা বিকল্প মাদক হিসেবে ব্যবহার করায় ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফশিলে যুক্ত করে গত ৮ জুলাই গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
সেখানে বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রস্তাব মতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৫ ধারা অনুযায়ী ওই আইনে ‘খ’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য হিসেবে টাপেন্টাডলকে তফসিভুক্ত করা হল।
এ আইন ভঙ্গের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন উত্তরণ ফার্মেসির মালিক আপেল মাহমুদ, বাদশা ফার্মেসির মালিক হামিদ খান বাদশা ও আমিনুল মেডিকেলের মালিক খোরশেদ আলম।
এছাড়া এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে এই আদালত।
স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত টাপেন্টাডল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে আপেল মাহমুদ, হামিদ খান বাদশা এবং খোরশেদ আলমকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই সাথে, অনিবন্ধিত ওষুধ বিক্রির অভিযোগে সাকিব ফার্মেসির মালিক আতাউর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এ আদালত বলে জানান তিনি।
এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম কামরুল ইসলাম। এ সময় র্যাব ১২ বগুড়ার স্পেশাল কোম্পানির স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক ও র্যাবের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।