শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারে কার্যালয়, জেলা ও দায়রা আদালত, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল রোড, কলেজ মোড় থেকে জেলা প্রশাসকের বাসভবন সবখানেই পানি আর পানি।
সরেজমিন ঘুরে পৌরবাসীর চরম দুর্ভোগের ছবি দেখা গেছে। শহরের পানিবন্দি ‘৩০ হাজার’ মানুষের জীবন যেন স্থবির হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম শহরের তালতলা এলাকা ডুবে আছে বন্যার পানিতে
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারে কার্যালয়, জেলা ও দায়রা আদালত, ফায়ার সার্ভিস, জেনারেল হাসপাতাল, সদর থানা, নার্সেস কোয়র্টার, নার্সিং ইনস্টিটিউট, জেলা প্রশাসকের বাংলো, স্টাফ কোয়ার্টার, ফুড অফিস, খাদ্য গুদামসহ বেশ কয়েকটি অফিস ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পান্দি হয়ে রয়েছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাদের দুর্ভোগের কথা বলেছেন বিডনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও জেলা জজ আদালত সড়ক পানির নিচে
পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরের কাছে বারবার যোগাযোগ করেও কাজ হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
হাটিরপাড়ের মকবুল, ইকবাল, সহিদুল ইসলাম, সরদার পাড়ার আবু সাঈদ মুন্না, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস পাড়ার ফারুক হোসেন, সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুরনো ড্রেন পরিষ্কারের অভাবে ও কিছু জায়গায় ড্রেন না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমাট বেঁধে থাকে।
কুড়িগ্রাম পৌর সভার মেয়র আব্দুল জলিল বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বন্যার কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ড্রেনের পানি ধীর গতিতে নামছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর প্লাবিত
কুড়িগ্রাম শহর ধরলা নদীর কোল ঘেঁষে হওয়ায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত শহরের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।”