কুড়িগ্রাম শহরে ‘৩০ হাজার’ মানুষ পানিবন্দি

বন্যার পানিতে কুড়িগ্রাম জেলার অন্যান্য স্থানের মতো পৌর শহরের মানুষও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

আহসান হাবীব নীলু কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2020, 07:04 PM
Updated : 19 July 2020, 07:04 PM

শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারে কার্যালয়, জেলা ও দায়রা আদালত, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল রোড, কলেজ মোড় থেকে জেলা প্রশাসকের বাসভবন সবখানেই পানি আর পানি।

সরেজমিন ঘুরে পৌরবাসীর চরম দুর্ভোগের ছবি দেখা গেছে। শহরের পানিবন্দি ‘৩০ হাজার’ মানুষের জীবন যেন স্থবির হয়ে পড়েছে। 

কুড়িগ্রাম শহরের তালতলা এলাকা ডুবে আছে বন্যার পানিতে

জলাবদ্ধতার শিকার শহরের এলাকাগুলো হলো হাটিরপাড়, হাসপাতাল পাড়া, রৌমারী পাড়া, কলেজ পাড়া, পূর্ব মুন্সীপাড়া, কালিবকসী পাড়া, নামা ভেলাকোপা, টাপু ভেলাকোপা, উঁচা ভেলাকোপা, চর ভেলাকোপা, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস পাড়া, পাওয়ার হাউজ পাড়া, কবিরাজ পাড়া, হরিকেশ মাঝিপাড়া, চৌকিদার পাড়া, আমবাড়ি ঘাট, গোরস্থান পাড়া, চামরার গোলা, চরুয়া পাড়া, সরদার পাড়া, মোক্তার পাড়া, মোল্লা পাড়া, ডাকবাংলা পাড়া, খান পাড়া, কানীয়া পাড়া, মরাকাটা, একতা পাড়া, হাটির পাড়, নতুন স্টেশন পাড়া ও প্রফেসর পাড়া।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারে কার্যালয়, জেলা ও দায়রা আদালত, ফায়ার সার্ভিস, জেনারেল হাসপাতাল, সদর থানা, নার্সেস কোয়র্টার, নার্সিং ইনস্টিটিউট, জেলা প্রশাসকের বাংলো, স্টাফ কোয়ার্টার, ফুড অফিস, খাদ্য গুদামসহ বেশ কয়েকটি অফিস ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পান্দি হয়ে রয়েছে।

শহরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাদের দুর্ভোগের কথা বলেছেন বিডনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও জেলা জজ আদালত সড়ক পানির নিচে

হাসপাতাল পাড়ার শাহিন আহমেদ বলেন, এ পাড়ার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, ডাক্তার, স্বাহ্যকর্মী, শিক্ষকসহ প্রায় ৪০টি পরিবার গত এক মাস ধরে পানিবন্দি জীবনযাপন করছে।

পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরের কাছে বারবার যোগাযোগ করেও কাজ হয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।

হাটিরপাড়ের মকবুল, ইকবাল, সহিদুল ইসলাম, সরদার পাড়ার আবু সাঈদ মুন্না, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস পাড়ার ফারুক হোসেন, সিরাজুল ইসলাম বলেন, পুরনো ড্রেন পরিষ্কারের অভাবে ও কিছু জায়গায় ড্রেন না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমাট বেঁধে থাকে।

কুড়িগ্রাম পৌর সভার মেয়র আব্দুল জলিল বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বন্যার কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ড্রেনের পানি ধীর গতিতে নামছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর প্লাবিত

“এছাড়া কিছু স্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক রয়েছে। এসব স্থানে ড্রেন সংস্কার এবং কিছু স্থানে নতুন ড্রেন নির্মাণ পরিকল্পনা রয়েছে। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শহরের জলাবদ্ধতা থাকবে না।”

কুড়িগ্রাম শহর ধরলা নদীর কোল ঘেঁষে হওয়ায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত শহরের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।”