রোববার বিকালে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শামীম হোসেন।
শামীম হোসেন জানান, দূরপাল্লার বিভিন্ন বাস প্রতিনিধি এবং পূরবী-পূর্বাণী বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালুর অনুমতি চেয়েছিল।
“সোমবার সকাল থেকে তাদের বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।”
তবে কোনো পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
দূরপাল্লা গণপরিবহনের মধ্যে রয়েছে ডলফিন, শ্যামলী, ইউনিক, সৌদিয়া, হানিফ, ঈগল, এস আলম, সেন্ট মার্টি এবং দেশ ট্রাভেল। এসব বাস ঢাকা এবং উত্তরবঙ্গে কয়েকটি রুটে চলাচল করে থাকে।
দূরপাল্লা বাসের এক প্রতিনিধি কামাল পাশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা এবং অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ঢাকার বাস চলাচল করবে। সরকারের বেঁধে দেওয়া ভাড়া নেওয়া হবে।
পূরবী-পূবার্ণী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু দাশ জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটি রুট এবং অভ্যন্তরীণ সাতটি উপজেলার রুটে আমাদের বাস চলাচল করবে। পরিবহন কর্মীরা স্থাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। এছাড়া যাত্রীদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বাধ্য করা হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশের মতো বন্ধ থাকে বান্দরবানেরও সব গণপরিবহন। জুন মাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করার পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ফের বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। ২১ দিনের লকডাউন শেষ হলেও সংক্রমণের হার বিবেচনায় বান্দরবান শহর এবং লামা পৌরসভা এখনও রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে।