এই বাঁধের সংস্কার না করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড, খাদ্য গুদাম, মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লঞ্চ ঘাট ও ফেরিঘাটসহ বহু স্থাপনা বিলীন হওয়ার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ১৯৯৮ সালে আমতলী পৌর শহরকে পায়রা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ফেরি ঘাট থেকে পাউবোর অফিস পর্যন্ত ১২০০ মিটার শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের অধীনে সিসি ব্লক স্থাপন করা হয়।
এরপর ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন, রোয়ানু, বুলবুল ও আম্পানের কারণে পায়রা নদীর ভাঙনে বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় সিসি ব্লক সরে যায়।
রোববার সকালে পায়রা নদী সংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পায়রা নদীর জোয়ারের পানি তীরে আছড়ে পড়ছে। পাড়ের ব্লকগুলো ক্রমান্বয়ে সরে যাচ্ছে। অনেক ব্লক ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমতলী স্লুইস গেট এলাকায় দুপাশের অনেক ব্লক সরে গেছে। বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। ফেরি ঘাট, শ্বশ্মান ঘাট, সবুজবাগ মুক্তিযোদ্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লঞ্চ ঘাট ও খাদ্য গুদামসহ সহস্রাধিক বাড়িঘর হুমকির মুখে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকার ব্লক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
খাদ্য গুদাম ঘাটসহ এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
লঞ্চ ঘাট এলাকার সৈয়দ মো. মাসুম বলেন, ব্লক সরে পায়রা নদীতে বিলীন হওয়ায় লঞ্চ ঘাট, পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকাসহ পৌর শহর হুমকির মুখে পড়েছে। অতি দ্রুত ব্লক সংস্কার করা না হলে তীর ভেঙে বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
“দ্রুত পায়রা নদীতে ব্লক দিয়ে সংস্কারের দাবি জানাই।”
আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, পায়রা নদীর ভাঙনে প্রতিদিনই পৌর শহরের আয়তন ছোট হচ্ছে। ভাঙনে বহু স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। পুরাতন সিসি ব্লক সরে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দ্রুত শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কার করা না হলে ভাঙনের ভয়াবহতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
“এ শহরকে রক্ষা করতে পায়রা নদীর তীরে তিন কিলোমিটার এলাকায় সিসি ব্লক নির্মাণ করা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে দ্রুত সিসি ব্লক নির্মাণের দাবি জানাই।”
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান সুজন বলেন, আমতলী পৌর শহর রক্ষার জন্য শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কারের জন্য প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্প পাশ হলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।