সাভারে ৬ ‘জেএমবি’ গ্রেপ্তার, উগ্রবাদী বই-লিফলেট উদ্ধার

ঢাকার সাভারে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য সন্দেহে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও লিফলেটসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2020, 12:30 PM
Updated : 19 July 2020, 12:30 PM

শনিবার রাতে সাভার পৌরসভার ভাটপাড়া মহল্লায় এই অভিযান চালানো হয় বলে র‌্যাব-৪ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন রাজশাহীর ওমর ফারুক ওরফে রুবেল ওরফে সানী (২৮), জামালপুরের হাবিবুর রহমান ওরফে বাদশা (৪৮), সাইদুর রহমান ওরফে সাইদুর (৫৫), মাহবুবুর রহমান ওরফে দুদু (৫৫), শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক (৩৭) ও গোলাম মোস্তফা (৫১)।

র‌্যাব কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার ওমর ফারুক ওরফে রুবেল ওরফে সানী পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি জেএমবির সঙ্গে জড়িত। তার মোবাইল ফোনে জেএমবির বর্তমান কার্যক্রম সম্বন্ধে গুরত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

“হাবিবুর রহমান ওরফে বাদশা জামালপুর সদরের ঘোড়াধাপ এলাকার জিএমবিকে নেতৃত্ব দিতেন। তিনি গত ১০ বছর ধরে জেএমবির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত।”

সাইদুর রহমান প্রায় ১৯ বছর ধরে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

সাজেদুল ইসলাম জানান, মাহবুবুর রহমান ওরফে দুদু মিয়া ঘোড়াধাপ এলাকার জেএমবির শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বদানকারী একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি জেএমবি সদস্যদের মাঝে জঙ্গিবাদী বিভিন্ন বই, ম্যাগাজিন নিয়মিত গোপনে বিতরণ করতেন।

শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পেশায় যুক্ত থেকে দীর্ঘদিন ধরে জেএমবির কাজ করে আসছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, বলেন সাজেদুল।

তিনি আরও বলেন, মোস্তফা জেএমবির একজন প্রশিক্ষিত ও সক্রিয় সদস্য। ২০০৪ সালে জেএমবি কর্তৃক জামালপুরে মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত আলোচিত গনি গোমেজ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র তিনি সরবরাহ করেছিলেন।

তাদের হেফাজত থেকে উগ্রবাদী বই, লিফলেট, সাময়িকী, ডিজিটাল কনটেন্টসহ মোবাইল, টর্চ লাইট, ট্রাভেলস ব্যাগ, নিত্য ব্যবহার্য জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান।