শিমুলিয়ায় দুপুরে ঘেরাও, বিকালে ফেরির পরীক্ষামূলক চলাচল

দুই দিন বন্ধ থাকার পর শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি সার্ভিস ‘সীমিত আকারে’ সচল করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2020, 12:24 PM
Updated : 18 July 2020, 12:32 PM

শনিবার বিকালে পরীক্ষামূলক এ সার্ভিস সচল করা হয়। এর আগে দুপুরে শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম’র অফিস ঘেরাও করে পণ্যবাহী যানবাহনের শ্রমিকরা।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় প্রবল স্রোতের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। এ ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে থাকে দুপারে যানবাহনসহ আটকা পড়ারা।

ফেরি সচল করা বিষয়ে বিকালে বিআইডনিব্লউটিসি’র এজিএম শফিকুল ইসলাম জানান, দুইটি ঘাট থেকে দুইটা ফেরি ছাড়া হয়েছে। এ দুটো সফলভাবে পারাপার করা সম্ভব হলে আরো কয়েকটি ফেরি চালু করা হবে।

শিমুলিয়া ঘাটের একটি সূত্র জানায়, উত্তর অঞ্চলের বন্যার পানি পদ্মা নদী হয়ে সাগরের দিকে যাচ্ছে। এতে নদীতে প্রচণ্ড ঘূর্ণিস্রোতের সৃষ্টি হচ্ছে। স্রোতের সাথে পলিমাটি আসায় ফেরি চলাচলের বিভিন্ন চ্যানেল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে গত ৮-১০ দিন ধরে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়ে আসছে।

গত শুক্রবার সকালে সীমিত আকারে চালুর চেষ্টা করেও সচল করা যায়নি। শনিবার বিকালে আবার ফেরি সার্ভিস সচলের চেষ্টা করা হল।

এর আগে দুপুরে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটে পারাপারের সুযোগ চেয়ে আটকে থাকা পণ্যবাহী যানবাহনের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম’র অফিস ঘেরাও করেন তারা। এ সময় ফেরি চলাচল শুরুর দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধরা।

কয়েকদিন ধরে শিমুলিয়া ঘাটে আটকে থাকা বিভিন্ন ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকাপসহ পণ্যবাহী যানবাহনের শ্রমিকরা এ আন্দোলন করেন।

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) হিলাল উদ্দিন বলেন, এজিএম অফিস ঘেরাও করার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফেরিতে যাত্রীবাহী গাড়ির সঙ্গে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারের সুযোগ দেওয়ার দাবি মেনে নেওয়ায় পর পরিস্থিতি শান্ত হয় বলে জানান তিনি।

দুই দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে সাড়ে আট থেকে নয়শ’ যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। শিবচর ঘাটেও প্রায় একই অবস্থা। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি ও মালবাহী ট্রাক আছে। তবে ট্রাকের সংখ্যাই বেশি বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলের বয়াবাতি জায়গা থেকে সরে যাচ্ছে। বন্যার পানির সাথে ভেসে আসা আবর্জনা ফেরির ইঞ্জিন বিকল করে দিচ্ছে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে প্রায় রাতে ফেরি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। শুক্রবার নদীতে একটি ফেরি আটকা পড়ে।