বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রবল স্রোত আর ঘূর্ণাবর্তের মধ্যে ফেরিগুলো কয়েক দিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছিল। স্রোতের প্রতিকূলে টিকতে না পারায় মাঝেমধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছিল। আর দিনে মাত্র ছয়টি এবং রাতে একটি-দুটি ফেরি দিয়ে কোনোমতে যান পারাপার চালু রাখা হয়েছিল।
“শুক্রবার বেলা ১২টায় তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
এতে উভয় পারে ১২ শতাধিক যান আটকা পড়েছে বলে জানিয়েছেন শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক হিলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, কার্যত ১৬ ঘণ্টা ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাড়ির লাইন ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গাড়ির চাপ শামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যাত্রীরা অস্থির হয়ে উঠেছে। ফেরি চলাচলে সমস্যার কারণে চাপ পড়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোটের ওপর।
এদিকে শুক্রবার ভোর ৫টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো ফেরি শাহমখদুম বিকল্প চ্যানেলে ঢুকতে না পেরে ভাটিতে নোঙ্গর করতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিইটিসি কর্মকর্তা আলী আহাম্মেদ।
তিনি বলেন, ভেসে আসা আবর্জনা শাহ মখদুমের প্রপেলারে পেঁচিয়ে যাওয়ায় ফেরিটি গতি হ্রাস পায়। ফলে স্রোতের প্রতিকূলে টিকতে পারেনি। এ কারণে চ্যানেলে ঢুকতে না পেরে ভাটিতে নোঙ্গর করতে বাধ্য হয়েছে। সেখানে গিয়ে প্রপেলার একবার পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আবার অবর্জনা পেঁচিয়ে গেছে। পরে ফেরিটি উদ্ধার করতে আইটি৩৯৪ সেখানে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া সকাল ৮টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরি ক্যামেলিয়া চার ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়েও চ্যানেলে ঢুকতে পারেনি বলে তিনি জানান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফেরিটি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।