বিবরণ দিয়ে সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়কের শক্তিয়ারখোলা-আনোয়ারপুর নামক স্থানে ভেঙে যাওয়ায় তাহিরপুর উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক যোগযোগ বিচ্ছিন্ন। সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্বর সড়কের রাধানগর ও লালপুর এলাকায় ভেঙে যাওয়ায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক যোগযোগ বিচ্ছিন্ন। সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের জাল্লাবাজ এলাকায় ভেঙে গিয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা বিচ্ছিন্ন আছে। সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কের নোয়াগাঁও ও দোহালিয়া এলাকায় ভাঙনের ফলে জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
“অনেক জায়গা পানি এখনও নামেনি। পানি নামলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। ক্ষতিক্ষতির পুরো হিসাব পাওয়ার পর আমরা মন্ত্রণালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠাব।”
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুর ইসলাম বলেন, “আমাদের ২২৬ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৩০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন, বন্যার পর মানুষজন সব চেয়ে ভোগান্তিতে পড়বে ভাঙাচোরা সড়কের কারণে। জেলার সঙ্গে চারটি উপজেলার উপজেলার সড়ক যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। বর্ষামৌসুম হওয়ায় সাধারণ মানুষকে নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত সড়কগুলো মেরামত করা না হলে ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে।
জামালগঞ্জ উপজেলার আকবর হোসেন বলেন, আমরা জেলা শহর থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। নৌকায় পার হয়ে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে। জেলা শহরে যেতে এক ঘণ্টার জায়গায় তিন ঘণ্টা লাগছে।