শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি: শেরপুরে অধ্যক্ষের বিচার দাবি

জালিয়াতি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িতের অভিযোগে শেরপুরের মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানের বিচার দাবি করে মানববন্ধন হয়েছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2020, 01:12 PM
Updated : 16 July 2020, 01:12 PM

বৃহস্পতিবার সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

ওই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, ডিসি আনার কলি মাহবুবের নির্দেশনায় ইতোমধ্যে ওই অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। তাতে ‘অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া গেছে।’

এখন তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর পর জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে একজন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এমন সীমাহীন অভিযোগ থাকার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক-যা সেই প্রতিষ্ঠানের জন্যও অমঙ্গলকর।”

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দাতা সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কলেজটির গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা একেএম বেলায়েত হোসেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু তাহের, সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা রূপালী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, এমপিও বঞ্চিত প্রভাষক পি আর মুহম্মদ রাহুল ও যমুনা খাতুন, ভুক্তভোগী আমিরুল ইসলাম, সোহেল মিয়া ও অন্যরা।

মানবন্ধনে বক্তারা অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানকে জামায়াতপন্থি অবিহিত করে বলেন, এই অধ্যক্ষ উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে অশোভন উক্তি করেন। তার জন্য ‘স্থানীয় প্রভাবশালীদের দুর্বলতায়’ তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। আর সেটিকে পুঁজি করে তিনি ডিগ্রি পর্যায়ে এমপিও তালিকা পাঠানোর ক্ষেত্রে নিয়োগ বাণিজ্যসহ ‘সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন।’

মানববন্ধনে এমপিওবঞ্চিত প্রভাষকদের স্বজন ও অন্যান্য ভুক্তভোগীরাও অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে কলেজ অধ্যক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যের মিথ্যা অভিযোগের তদন্ত চলছে। আর মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক।