বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব ঘর তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান জানান, এক একর ২০ শতাংশ জমিতে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দুই কক্ষের প্রতিটি বাসায় বিদ্যুৎ, টয়লেট ও পরিবেশবান্ধব চুলা রয়েছে।
জাতীয় পতাকার রঙে রাঙানো হয়েছে সেমিপাকা এসব টিনশেড ঘর।
ইউএনও বলেন, এসব ঘরে ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবার ঠাঁই পেয়েছে। তাদের অধিকাংশই নারী, যাদের বেশির ভাগই বিধবা অথবা তালাক হয়েছে। গ্রিন সিটিতে রয়েছে একটি মিলনায়তন, যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এখানকার বাসিন্দাদের, যাতে তারা নিজেরা আয় করতে পারেন। এছাড়া মাছ চাষের জন্য রয়েছে একটি খামার। রয়েছে হাঁস-মুরগি পালনের ব্যবস্থা। রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন বৃক্ষ। রয়েছে শিশুদের বিনোদন ও খেলাধুলার ব্যবস্থা।
তিনি জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় প্রকল্পের আওতায় এই গ্রিনসিটি নির্মিত হয়েছে। তবে অন্যান্য গুচ্ছগ্রাম থেকে এর নকশা, স্থাপনা ও কার্যক্রমে ভিন্নতা আনা হয়েছে।
খুলনার কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার হেসেন হাওলাদার, মাগুরার জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ মাগুরা গ্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান, গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান রাজিব অনুষ্ঠানে ছিলেন।