সিরাজগঞ্জের এনামুল হত্যা মামলা ডিবিতে, ৩ আসামি রিমান্ডে

সিরাজগঞ্জে দলীয় কোন্দলে পরিণতিতে হামলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় হত্যা মামলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2020, 11:13 AM
Updated : 16 July 2020, 11:13 AM

সদর থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে বৃহস্পতিবার এনামুল হক বিজয় হত্যা মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।   

এদিকে, জেলহাজতে থাকা তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

এরা হলেন সয়াগোবিন্দ ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান বিজয় (২৩), জাহিদুল ইসলাম (২১) এবং দিয়ারধানগড়ার সাগর (২০)।    

মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের এস আই বদরুদ্দোজা জিমেল জানান, জেলহাজতে থাকা তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সতি দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।

“বৃহস্পতিবার আবেদনের শুনানি শেষে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ মোরশেদ আলম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৬ জুন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে ছাত্রলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কামারখন্দ সরকারি হাজি কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা সভাপতি এনামুল হক বিজয়কে মাথায় কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। নয় দিন পর ৫ জুলাই তার মৃত্যু হয়।

হামলার পর ২৭ জুন বিজয়ের বড়ো ভাই রুবেল বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার পরপরই সদর থানার এস আই আনিছুর রহমান মামলাটির তদন্ত করেন। এর মধ্যে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিন জন জেল হাজতে আছে। আল আমিন নামে একজন জামিনে এবং প্রধান আসামী শিহাব আহমেদ জিহাদ পলাতক রয়েছেন।

এদিকে, ঘটনার পর ২৮ জুন মামলার আসামি জেলা ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন ও শিহাব আহমেদ জিহাদকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

এ অবস্থায় ৭ জুলাই নিহত ছাত্রনেতা এনামুল হক বিজয় স্মরণে মিলাদ মাহফিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষেরে মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হন।

এরপর পাল্লাপাল্টি আরও চারটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বর্তমানে ২৫ জন নেতাকর্মী জেলহাজতে রয়েছেন।

এই সংঘর্ষের পর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির হস্তক্ষেপে গত ৮ জুলাই থেকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় তালা বন্ধ এবং আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের দলীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।  

পুরনো খবর