পৃথক দুইটি চিঠিতে তাদের নোটিশ পাঠিয়েছেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের হাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার।
এ চিঠি পেয়েছেন এ হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক স সেলিনা আক্তার এবং সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. মহিউদ্দিন।
করোনাভাইরাসের ভুয়া পরীক্ষায় জড়িতদের ধড়পাকড় ও দেশব্যাপী আলোচনার মধ্যে এ বিষয়টি সামনে আসল। গত ৯ জুলাই মহিউদ্দিনকে এবং ১৩ জুলাই সেলিনা আক্তারের প্রতি চিঠি ইস্যু করে অধিদপ্তর।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কয়েকজন নার্স জানান, করোনাভাইরাসের মহামারিতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৫২ জন নার্স নিয়োগ দিয়েছে সরকার। গত ১৩ মে তারা কর্মস্থলে যোগ দেন। পিডিএস, পে-বিল ফিক্সেশন, মেডিকেল ফিটনেস, সিল, পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত নার্সদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার একশ’ টাকা করে উত্তোলন করা হয়। এ টাকা তোলায় সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন।
টাকা তোলার কথা স্বীকার করে সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দিন বলেন, “বেতনের কাগজপত্র জমা দেওয়া, আইডি কার্ড, সিলসহ বিভিন্ন খাতে কিছু খরচ আছে। তাই সবার কাছ থেকেই ২১শ’ টাকা করে উত্তোলন করা হয়েছে।”
এর আগে এ হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্তদের আরো বেশি টাকা লাগত বলেও জানান মহিউদ্দিন।
তবে হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার বলেন, “আমি অভিযোগ শোনার পরপরই তাদের সতর্ক করেছি। এরপর কেউ টাকা ওঠায়নি।
“তবে সিল তৈরিসহ তাদের টুকটাক খরচ যে নেই, তা কিন্তু নয়।”
বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে নড়েচড়ে বসে নার্সিং অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি চিঠিতে বলা হয়, চাঁদা (অর্থ) আদায় ও চাঁদা আদায়ে সম্মতি প্রদান করা সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি পরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এজন্য সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তারের কাছে সাত কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া সিনিয়র স্টাফ নার্স মহিউদ্দিনের কাছে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে অধিদপ্তরে জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।