ফরিদপুরের বহিষ্কৃত আ.লীগ নেতা বরকত এবার অর্থপাচারে রিমান্ডে

অর্থপাচারের এক মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকতের দুইদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2020, 07:08 PM
Updated : 13 July 2020, 07:08 PM

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম অনলাইনে শুনানি শেষে এ মামলায় তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলেরও দুইদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার আব্দুর রহিম বলেন, সিআইডি বরকত ও রুবেলের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন জানায়। আদালত শুনানি শেষে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।

গত ১৬ মে রাতে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলা হয়। ১৮ মে সুবল সাহা এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। ৭ জুন রাতে এ মামলার আসামি হিসেবে প্রথমে বরকত ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ হামলা মামলা ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আরো আটটি মামলা হয়েছে;  যার মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অস্ত্র, মাদক, হত্যা, চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগে মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাদের কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ অর্থপাচারের অভিযোগে মামলায় নেওয়ার অনুমতি মিলল।

গত ২৬ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং এর এ মামলা করেন। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় এ মামলা করা হয়। মামলায় ওই দুই ভায়ের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ উপার্জন এবং পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারী নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়াও মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখলের অভিযোগ আনা হয় এজাহারে। এভাবে উপার্জিত অবৈধ অর্থ দিয়ে এসি, নন এসিসহ ২৩টি বাস, ড্রাম ট্রাক, বোল্ডার, পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন, এ টাকার উল্লেখযোগ্য অংশ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন তারা।

এজাহারে আরও বলা হয়, প্রথম জীবনে এই দুই ভাই রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে এক বিএনপি নেতার কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তখন তাদের সম্পদ বলতে তেমন কিছু ছিল না।