সোমবার সকাল ৬টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে এ নদীর পানি বিপদ সীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল; আগের রাত ১২টায় যেখানে পানি প্রবাহ বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।
রাতে তিস্তা ব্যারাজসহ আশপাশের এলাকায় রেড এলার্ট জারি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে পানি কমতে শুরু করায় সোমবার সকাল ৯টায় ওই এলার্ট প্রত্যাহার করা হয়।
“গত রাতের পানি প্রবাহ ওই ফ্লাড বাইপাস খুলে দেওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। তবে রাত ১২টার পর থেকে পানি কমতে শুরু করলে সেটি আর প্রয়োজন হয়নি।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য, ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি সোমবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৩৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদ সীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো রবিউল ইসলাম বলেন,“রোববার সর্বকালের রেকড ভঙ্গ করেছে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ। এদিন বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রাবহিত হয়। তিস্তা ব্যারাজ ও আশপাশ এলাকায় রাতের জারি করা রেড এলার্ট সোমবার সকালে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তবে বন্যা কবলিত মানুষদের দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে।
ডিমলা উপজেলার টোপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন,“আমার ইউনিয়নের এক হাজার ৭০০ পরিবার পানি বন্দি হয়েছে। গত চার দিনে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ঘর-বাড়ি হারিয়েছে ২৪ পরিবার।
“পূর্বখড়িবাড়ি টাবুর চর গ্রাম থেকে শতাবিক পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
ঝুনাগাছচাপনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, “ভেন্ডাবাড়ি ও ছাতুনামা গ্রামে এক হাজার ৩০০ পরিবার বন্যা কবলিত। নদীভাঙনের শিকার হয়েছে ৬৫ পরিবার।”
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রাণী রায় জানান, বন্যায় ত্রাণ বিতরণের জন্য ৬০ মেট্রিকটন চাল, এক লাখ টাকা ও ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
“দ্রুত এসব বিতরণের কাজ শুরু হবে।”