সোমবার দুপুরে সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই হামলা চালানো হয়।
আহত কামাল হোসেন আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হামলা চালানো হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন আমিনপুর থানার ওসি এস এম মইনুদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে ওসি বলেন, চেয়ারম্যান সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে আহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান। এ সময় আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা কয়েকজন যুবক তার পিছু নেয় এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠিশোটা ও হাতুড়ি দিয়ে চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের ওপর হামলা চালায়।
“সন্ত্রাসীরা তাকে বেধড়ক মারপিট করে। চেয়ারম্যানের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।”
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক চিকিৎসক মেহেদী হাসান রুমী বলেন, “কামাল চেয়ারম্যানের অবস্থা খুব ভালো না হওয়ায় বিকালে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
“তার শরীরে হাতুড়ির আঘাত রয়েছে প্রচুর। একটি পা ভেঙে গেছে; প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।”
সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনজ্জামান শাহিন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার দাবি করেছেন।
আমিনপুর থানার ওসি এসএম মইনুদ্দিন বলেন, কে বা কারা চেয়ারম্যানের উপর হামলা করেছে তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলেও পুলিশের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। বার বার পুলিশকে বলা হলেও পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।
তবে ওসি মইনুদ্দিন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।