আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, রোববার তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চাল মেশানোর সত্যতা পেয়েছেন।
জাহিদ বলেন, স্থানীয় খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরাম হাসান খান গত তিন দিন ধরে শ্রমিক দিয়ে খাদ্যগুদামে রাখা ভিজিডির চালের সঙ্গে নিম্নমানের চাল মিশিয়ে বস্তায় ভরছিলেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছিল।
পরে তিনি বাধা দিয়ে আর মেশাতে দেননি এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনিও ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পান বলে জানান উপজেলা চেয়ারম্যামন জাহিদুল।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরাম হোসেন খান বলেন, চলতি চাল ক্রয়-বছর ৩৮৫ মেট্রিক টন চাল ক্রয় ধার্য্ হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০২ মেট্রিক টন চাল 'নূর এন্ড ব্রাদার্স রাইচ মিল' ও 'বিসমিল্লাহ রাইচ মিল' থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাকি চাল কোত্থেকে ক্রয় করা হয়েছে তা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারেননি।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বলেন, “চাল মেশানোর খবর পেয়ে আমি দ্রুত গোডাউন যাই। ঘটনার সত্যতা পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।”
এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ইউএনও।
ফরিদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সাহিদার রহমান বলেন, “খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিম্নমানের চাল মেশানোর সত্যতা পেয়েছি। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা দোষী প্রমাণিত হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, “খাবার চালে ভেজাল বা পচা চাল মেশানোর ঘটনা প্রমাণিত হলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, সে যেই হোক না কেন।”