সুন্দরবনে আরেকটি বাঘের মৃত্যু

সুন্দরবনে ছয় মাসের মধ্যে আরেকটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যু হয়েছে।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 July 2020, 07:55 AM
Updated : 18 July 2020, 06:55 PM

গত শুক্রবার সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের খুলনা রেঞ্জের আন্ধারমানিক ফরেস্ট ক্যাম্পের অদূরে বাঘটির মৃতদেহ পাওয়া যায় বলে পশ্চিম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বশিরুল আল মামুন জানান।

দুদিন আগে বাঘটির মরদেহ উদ্ধার করা হলেও বিষয়টি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে রোববার রাতে।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি একই রেঞ্জের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন কবরখালি খালের চরে একটি মৃত বাঘ পাওয়া যায়। এছাড়া গত বছরের [২০১৯ সাল] ২০ অগাস্ট শরণখোলা রেঞ্জের ছাপড়াখালীতে একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করা হয়। 

বনবিভাগ জানায়, এটি একটি মেয়ে বাঘ। এটির উচ্চতা তিন ফুট এবং দৈর্ঘ্য লেজসহ সাত ফুট। বয়স হবে ১৪ থেকে ১৫ বছর। মৃত বাঘটির পেছনের বাম পা এবং সামনের ডান পায়ে ক্ষত রয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বাঘটির শরীরের বিভিন্ন অংশের নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা পাঠিয়েছে। 

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) বশিরুল আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পশ্চিম বিভাগের খুলনা রেঞ্জের আন্ধারমানিক ফরেস্ট ক্যাম্পের আশপাশে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ঘোরাঘুরি করছিল। বাঘের ঘোরাঘুরি দেখে ক্যাম্পের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠেন। তারা প্রাণ ভয়ে ক্যাম্প থেকে বের হননি কয়েকদিন।

“গত শুক্রবার সকালে ক্যাম্পের পাশে পুকুরপাড়ে বাঘটিকে অনেকক্ষণ পড়ে থাকতে দেখে মৃত বলে সন্দেহ হয়। পরে দূর থেকে বাঘটির আশপাশে মাছি উড়তে দেখে এটি মৃত বলে বুঝতে পারেন।”

তিনি বলেন, “তখন ক্যাম্পের সদস্যরা বিষয়টি জানালে আমি প্রাণিসম্পদ বিভাগকে সাথে নিয়ে শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যাই। প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাঘটি পরীক্ষা করেছেন। বাঘটির পেছন ও সামনের পায়ে ক্ষত রয়েছে। পেছনের বাম পায়ের থাবা নেই।”

তিনি আরও বলেন, বাঘটি তার বিচরণ এলাকায় অন্য কোনো প্রাণীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে আহত হয়ে থাকতে পারে এবং পরে অসুস্থার কারণে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

“তারপরও মৃত্যুর কারণ জানতে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরে বাঘটিকে আন্ধারমানিক এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়।”

বাঘ সাধারণ ১৬ থেকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকে বলে জানান এই বনকর্মকর্তা।