বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম মেহেদী হাসান জানান, শনিবার থেকে নারী-শিশুসহ ১২ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তের শূন্যরেখায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আটকা পড়ে আছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন শিশু, পাঁচজন নারী এবং দুইজন পুরুষ রয়েছেন।
মেহেদী হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা সদরের হাকর সীমান্তের ২০৩৯/১২-এস পিলার এলাকা দিয়ে এই ১২ জনকে বাংলাদেশে ঢোকানো চেষ্টা করে বিএসএফ। এ সময় বিজিবির টহল দল তাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে বাধা দেয়।
“ওইদিন সন্ধ্যায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করেও কোনো সমাধান না আসায় সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।”
পতাকা বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “শনিবার পতাকা বৈঠকে আমরা বলেছি তারা ভারতের অংশ থেকে ঢুকেছে এবং তাদের কাছে বাংলাদেশি কোনো পরিচয়পত্র নেই। যেহেতু ভারতের অংশ থেকে এসেছে, সেহেতু ধরেই নেওয়া যায় এরা ভারতের লোক। “
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবির কসবার কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার করিম উদ্দিন প্রধান এবং ভারতের বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কমলাসাগর বিএসএফ ক্যাম্পের পরিদর্শক প্রবেশ কুমার।